নবুয়াত কিঃ আল্লাহর
বিধান ওহী আকারে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমকে নবুয়াত বলে। রাসুল সঃ ৪০ বছর বয়সে
এ দায়িত্বে মননিত হন।
দুগ্ধ পানঃ
সর্ব প্রথম তাঁকে তাঁর
মাতা হযরত আমেনা দুগ্ধ পান করান। অতঃপর আবু লাহাবের দাসী ‘সুওয়াইবা’ তাকে দুগ্ধ
পান করায়। অতঃপর ধাত্রীর সন্ধান করতে থাকেন। ‘হাওয়াযিন’ গোত্রের বানী সা’দ এর
মহিলা হালীমা ছা’দিয়া এই বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী হন।জ্ঞান হওয়ার আগে থেকেই তার
মধ্যে হকের ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে দেখা যায়। তিনি এক স্তন পান করতেন অন্য স্তন তার
ভাইয়ের জন্য রেখে দিতেন।
আহমদ নামকরণঃ
বিবি
আমিনা গর্ভাবস্থায় স্বপ্নযোগে প্রাপ্ত নাম অনুসারে ‘আহমদ’ (উচ্চ প্রশংসিত’) নাম
রাখেন। বাল্যকাল হতে মুহাম্মদ ও আহমদ উভয় নামি প্রচলিত ছিল। উভয় নামই পবিত্র
কুরআনে উল্লেখ রয়েছে।
আল আমিন উপাধি লাভঃ বাল্যকাল হতেই মহানবী সঃ সত্যবাদিতা ও সচ্চরিত্রের
জন্য সকলে কাছে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। কখনো অন্যায় কাজে অংশগ্রহন করতেন না। তার কর্ম নিষ্ঠা, আন্তরিকতা,
সত্যবাদিতা, বিনম্রতা, আত্নবিশ্বাস প্রভৃতি গুনাবলীর জন্য তাকে সবাই আল- আমিন উপাধিতে
ভুষীত করেন।
লজ্জাষীলতাঃ একদা তার পরহিত কাপর খুলে গেলেই তিনি
অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন। তাঁর চোখ দুটি আকাশের দিকে নিবিষ্ট ছিল। তাঁর চেতনা ফিরে
এলো, তখন তিনি বলতে লাগলেন, আমার লুঙ্গি, আমার লুঙ্গি। তত্ক্ষণাৎ তাঁর লুঙ্গি পরিয়ে
দেওয়া হলো। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৮২৯)
রাসূলের
বক্ষ বিদীর্ণ হওয়ার ঘটনাঃ কিছু সুত্রে পাওয়া যায় তাকে ৪ বার বক্ষ বিদীর্ণ করা হয়।
হারবুল ফুজ্জারে অংশগ্রহনঃ মহানবি সঃ এর বয়০স যখন ১৪ তখন উজকাজ মেলায় জুয়া খেলা, ঘোড়দৌড়
ও কাবয় পড়োটী্যগীটা কে কেন্দ্র করে মক্কায় কুরায়েশ ও কায়েস গোত্রের মধ্যে দন্দ তৈরি
যেটা ৫ বছর ব্যাপি রক্তক্ষ্যী যুদ্ধতে পরিনত হয়। কেউ কেউ বলেন তিনি এ যুদ্ধে অংশগ্রহন
করেন।
হিলফুল ফযুল গঠনঃ ফুজ্জার
যুদ্ধের বীভৎসতা ও সহিংসতা দেখে রাসুল সঃ এর মন বরই ব্যাথিত হয়। আর্ত, পীড়িত, ব্যাথিত,
আত্যাচারিতকে রক্ষার জন্য এবং আরব দেশে শান্তি স্থাপন করতে কতিপয় শান্তি-প্রিয় যুবকদের
নিয়ে তিনি হিলফুল ফুযুল নামে একটি জনসেবামুলক প্রতিষ্টান গড়ে তোলেন।
বিয়েঃ আরবের সম্ভ্রান্ত
সম্পদশালী মহিলা বিবি খাদিজার মালামাল নিয়ে হযরত মুহাম্মদ সঃ ব্যাবসার উদ্দেশ্যে সিরিয়া
যান এবং প্রচুর মুনাফা করে ফেরেন। খাদিজা রাঃ তার কর্মদক্ষতা, নিষ্টা, সত্যবাদিতা ও
অনুপম চরিত্র দেখে মুগ্ধ হন এবং তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। রাসুল সঃ মাত্র ২৫ বছর বয়সে
তাকে বিয়ে করেন।
হাজরে আসওয়াদ স্থাপনঃ নবিজীর ৩৫ বিছ্র বয়সের শোমোয় কাবা ঘর মেরামতের ব্যাবস্থা
করা হয়। পুনর্মান শেষ হলে হাজরে আসওয়াদ কে স্থাপন করবে এ নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দেয়। তিনি বুদ্ধিমত্তার
সাথে সেতা স্থাপন করে রক্তক্ষয়ী সংঘাত থেকে জাতীকে রক্ষা করেন।
No comments:
Post a Comment